Thursday, October 17, 2013

ডাটা এন্ট্রি দিয়ে শুরু করুন আপনার ফ্রীলাঞ্চিং ক্যারিয়ার

বাংলাদেশ প্রযুক্তির পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল থ্রি জির মাধ্যমে । আর সেই সাথে সাথে অনলাইনে কাজ করার জন্য আরও ভালো সুযোগ তৈরি হল বাংলাদেশে । কারণ থ্রি জির জন্য উঠতি বয়েসি তরুনেরা আরও ভালো করে এবং সারা দেশের সবাই কিছুটা হলে ও ইন্টারনেট সম্পর্কে ধারনা পাবে । আর বাংলাদেশে বর্তমানে ফ্রীলাঞ্চিং এর জোয়ার বইছে । অবশ্য এটা খুবই ভালো, কারন এতে বেকার সমস্যা যেমন সমাধান হবে তেমনি বৈদেশিক মূদ্রা আসবে আমাদের দেশে । আজকের এই পোষ্টে আমি যারা একেবারে নতুন তাদের কে ডাটা এন্ট্রি কাজ দিয়ে কিভাবে ফ্রীলাঞ্চিং ক্যারিয়ার শুরু করতে হয় তার একটা মোটামুটি ধারনা দেবো । অনেক নতুন নতুন ছেলেমেয়ে আছে যারা আমার কাছে আসে এবং আমি কিভাবে অনলাইনে টাকা আয় করি জানতে চায় । এদের বেশীর ভাগ ফেসবুক থেকে, বিভিন্ন বন্ধুর শেয়ার করা পোষ্ট থেকে জানতে পেরেছে যে অনলাইন থেকে টাকা আয় করা যায় এবং অনেকে মোবাইল বা পিসি থেকে ও স্কাম সাইটে (স্কাম বলতে এখানে যেসব ওয়েব সাইট কাজের বিনিময়ে টাকা দেবার কথা বলে টাকা দেয় না ) কাজ করে কিছু ডলার ও জমা করেছে কিন্তু তুলতে পারছে না । এরা আসলে জানে না অনলাইনে টাকা আয় করা খুবই কষ্টের ব্যাপার এবং তাই সহজ কাজ খোঁজে এবং ফেসবুকে শেয়ার করা বিভিন্ন পি টি সি ( PTC মানে Pay Per Click মানে ক্লিক করলে টাকা, এদের ওয়েব সাইট এ বিভিন্ন কোম্পানির অ্যাড দেয়া থাকে এবং এই অ্যাডে ক্লিক করলে তারা একটা পরিমাণ টাকা দেবার কথা বলে ) সাইট এ কাজ করে । এই প্রসঙ্গে একটু বলে নিই, বেশী ভাগ পি টি সি সাইট টাকা দেয় না, অনেক সাইট আছে যারা এক ক্লিক করলে ১ থেকে ১০ ডলার দেবার কথা বলে কিন্তু আসলে এরা আপনাকে দিয়ে ফালতু কাজ করিয়ে নিচ্ছে এবং বিনিময়ে আপনাকে কোন টাকা ই দেবে না । আপনি কি বিশ্বাস করেন যে ১ সেকেন্ডে আপনাকে ৮০০ টাকা কেউ দেবে মাত্র একটা ক্লিক করলে ! আর যেসব পি টি সি সাইট আপনাকে টাকা দেবে তারা প্রতি ক্লিকে আপনাকে ০.০০১ ডলার দেবে । হিসাব করে দেখা যায় যে আপনার এক ডলার হতে ৪০ দিনের মতো সময় লাগবে । তাহলে বুঝতে পেরেছেন ত টাকা আয় করা আসলেই কঠিন । বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে যারা অনলাইনে টাকা আয় কিভাবে করবো নিয়ে আমার কাছে পরামর্শ চায় তাদের কে আমি প্রথম ১ মাস পরীক্ষা করি, সবাই বলে আমি খুব পরিশ্রম করতে পারি, আমি এটা পারি, ওটা পারি, একবার কাজ দিয়ে দেখেন । আমি একটু পরিশমের কাজ দিই এবং টাকার পরিমাণ কমিয়ে দিই এবং কঠিন ডেড লাইন (সংক্ষিপ্ত কাজ শেষ করার সময় বেধে দিই) দিয়ে দিই কারণ ফ্রীলাচিং করা মানে বিদেশীদের কাজ করা এবং এক্ষেত্রে সময় একটা বড় জিনিস । ঠিক মতো সময় কাজ জমা দিতে না পারলে বিদেশী বায়ার (যারা কাজ দেয় তাদের বায়ার বলে) ফীড ব্যাক খারাপ দেয় (ফীড ব্যাক হল কাজ শেষ করার পর বায়ার আপনার সম্পর্কে কিছু কমেন্ট লিখবে যে আপনি কতোটা ভালো কাজ করতে পারেন, সময় সম্পর্কে কতোটা সচেতন ইত্যাদি এবং ৫ টি স্টার এর মধ্য আপনি বায়ার মতে কতো গুলো স্টার পেতে পারেন তা বায়ার আপনাকে দেবে, আপনি যদি কাজ শেষ করতে না পারেন সময় মতো বা কাজ খারাপ করেন তবে বায়ার আপনাকে ৫ টি স্টারের মধ্য ১ টি বা ২ টি বা ৩ টি দিতে পারে এবং এতে অন্য বায়ারা আপনার ফীড ব্যাক খারাপ দেখে কাজ কম দেবে এবং আপনার কাজ পাবার সম্ভাবনা কমে যাবে) । আমি ধরে নিচ্ছি আপনি ফ্রীলাঞ্চিং (ফ্রীলাঞ্চিং মানে স্বাধীন ভাবে অনলাইনে টাকা আয় করা )জানেন না । তাই আপনার জন্য আমার এই পোষ্ট । এই পোষ্ট ভালো করে পড়ুন এবং এই পেজ টি কপি করে বা অন্য যেকোনো ভাবে আপনার কম্পিউটারে সেভ করে রাখুন । বা আমার ব্লগে চোখ রাখুন কেননা এটি আমার একটি বাংলা ব্লগে এর আগে পাবলিশ হয়েছে । অনলাইনে বহু ভাবে কাজ করে টাকা আয় করা যায় এবং খুব ভালো পরিমাণ ই । কিন্তু প্রিয় পাঠক, আমি জানি আপনাদের ভিতর ৯৫% লোক যারা একেবারে নতুন ফ্রীলাঞ্চিং শুরু করবেন ডাটা এন্ট্রি দিয়ে কিন্তু অন্য আর একজনকে যখন দেখবেন সে অন্য কোন কাজ করে ধরুন গ্রাফিক্স ডিজাইন বা এস ই ও বা ওয়েব ডিজাইন করে মাসে ২০০ – ৩০০ ডলার আয় করছে তখন আপনি আপনার মত পাল্টে ফেলবেন আর আপনি ডাটা এন্ট্রি কাজ ছেড়ে ওই কাজ গুলো শেখার চেষ্টা করবেন । কিন্তু কাজ শেখা ত সহজ নয়, বেশীর ভাগ লোক আজ কাজ শিখবে আর কাল টাকা আয় করবে কিন্তু কাজ শিখতে গেলে ভালো করে কাজ না শিখতে পারলে আপনার মাসে ৫০ ডলার আয় করতে জান বেরিয়ে যাবে । আর কাজ শিখতে গেলে বই পড়ার মতো ২৪ ঘণ্টা মনোযোগ দিয়ে ৪ থেকে ৬ মাস কাজ শিখতে হবে এর মধ্য টাকা আয়ের কথা বাদ দিতে হবে। যাহোক, অনলাইনে বেশীর ভাগ লোক সফল হতে পারে না কারন তারা বারে বারে তাদের মত পাল্টায় । যেকোনো একটা জিনিস নিয়ে পড়ে থাকলে খুব ভালো আয় করা যায় । আপনি কি ভাবছেন ডাটা এন্ট্রি করে কতো টাকা আয় করা যায়, হ্যাঁ, আমি ইলাঞ্ছে বাংলাদেশের বেশ কয়েক জনকে দেখেছি যারা ৩২,০০০+ ডলার আয় করেছেন ৪ বছরে । তার মানে প্রতি বছরে ৮,০০০ ডলার এবং প্রতি মাসে ৬৬৬ ডলার । দেখুন আমি চাপা বাজি করছি না । ভারতের অনেক কোম্পানি আছে যাদের আয় কয়েক লক্ষ ডলার এবং এরা বড় বড় ডাটা এন্ট্রি কাজ গুলো নিয়ে থাকে । কিন্তু আবার বলে রাখছি, আমি ধরে নিয়েছি আপনি একেবারে নতুন এবং এসব কিছু জানেন না আর আমি আপনাকে একটা সুন্দর পথ দেখানোর চেষ্টা করছি । আর একটা কথা যেটা দিয়ে ফ্রীলাঞ্চিং শুরু করবেন সেটা চালিয়ে যাবেন । যেমন—যদি ডাটা এন্ট্রি দিয়ে শুরু করেন তবে ডাটা এন্ট্রি কাজ নিয়ে সামনে এগিয়ে যান । এখন আপনি হয়ত একা কিন্তু আস্তে আস্তে করে আপনি ও এক জন একজন করে লোক নিয়োগ করবেন আর একদিন আপনার ও একটা ছোট ডাটা এন্ট্রি কোম্পানি হতে পারে । আমি কেন আপনাকে ডাটা এন্ট্রি দিয়ে শুরু করতে বলেছি কারণ, এটাই একমাত্র সহজ উপায় এবং এটা শিখতে সময় লাগে না শুধু মাইক্রোসফট এক্সসেল জানা থাকলেই হয় । আপনি ওডেস্কের নাম শুনেছেন, হ্যাঁ, ওডেস্কে ও আপনি ডাটা এন্ট্রি কাজ করতে পারেন কিন্তু আমি বলবো অন্য কথা । ইল্যান্স দিয়েই শুরু করুন আপনার ফ্রীল্যান্সিং ক্যারিয়ার ইল্যান্স ফ্রীলান্স কোম্পানির মধ্য অন্যতম । ওডেস্কে কাজ করতে করতে একসময় আপনি বিরক্ত হয়ে যাবেন কারণ ওডেস্কে এখন প্রচুর পরিমাণ কম্পিটিশান । যেকোনো একটি জবে দেখবেন প্রচুর পরিমাণ বিড । এত বিডের মধ্য কাজ পাবার সম্ভাবনা কম থাকে । তাছাড়া বিড বেশী হলে বায়ার ও অনেক জব ক্যান্সেল করে দেয় । আবার কিছু কিছু বায়ার আছে যারা শুধু ভালো ফিডব্যাক দেবার অফার করে খুব কম রেটে (১ – ২ ডলার বা ১০ সেন্ট) পাহাড় সমান কাজের বোঝা চাপিয়ে দেয় । মূলতঃ এখানে ও মানবিকতার বিরুদ্ধে কাজ করছে কিছু কিছু বায়ার । ভাবতে অবাক লাগে । আমি এমন ও অনেক বায়ার কে দেখেছি তারা ১০ সেন্ট করে প্রতি ঘণ্টায় কাজ করিয়ে নিচ্ছে । ফ্রীলান্সার এ কাজ পেতে বেশ সময় লাগে এবং এখানে ও কম্পিটিশান মোটামুটি । কিছু ভালো গুন থাকার জন্য আমার মনে হয় ইল্যান্স সব থেকে ভালো জায়গা । আপনি ওডেস্কে যতটা সময় দেন ইল্যান্সে ঠিক ততটা সময় দিতে পারলে আয় ও অনেক বেশী হবে । কারণ ---  ইল্যান্সে ৩ ডলারের নিচে প্রতি ঘণ্টায় কোন ওয়ার্কার হায়ার করা যায় না ।  আর ফিক্সড প্রাইসের ক্ষেত্রে ২০ ডলারের কমে কোন ওয়ার্কার হায়ার করা যায় না, যেখানে ওডেস্কে ১ ডলারে ও হায়ার করা যায় ।  আর এখানকার বায়ারদের সব থেকে ভালো গুন হল একবার আপনি যদি নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে পারেন তবে প্রতিনিয়ত কাজ পাবেন সেটা ডাটা এন্ট্রি ও হতে পারেন ।  এখানকার বায়ার গুলো খুব হাই লেভেলের এবং টাকার জন্য কার্পণ্য করে না, তাদের দরকার শুধু হাই কোয়ালিটির কাজ । তবে ইল্যান্সে একাউন্ট করাটা খুব কঠিন । ভুলে ও কখনো একের অধিক একাউন্ট করার চেষ্টা করবেন না একটি তথ্য দিয়ে । একাউন্ট করার পর এরা মোবাইল নম্বর যাচাই করবে এবং আপনাকে সরাসরি স্কাইপে দেখতে ও চাইবে । ব্যাপারটাকে একটু পরিস্কার করে বলি, একাউন্টে মোবাইল নম্বর বসালে দেখবেন পাশে লেখা আছে ভেরিফাই করুন, আপনি যখন ভেরিফাইতে ক্লিক করবেন তখন আপনার সামনে একটা কোড আসবে আর আপনার মোবাইলে একটা কল করবে। প্রথমে আপনাকে বলবে যে একটা বিপ শব্দ শোনার পর আপনি স্ক্রিনে যে কোড দেখতে পাচ্ছেন সেই কোড বলবেন আর বলা শেষ হলে মোবাইলের হ্যাশ বাটন চাপবেন । এভাবে ২৪ ঘণ্টার মধ্য ৩ বার চেষ্টা করে সফল না হলে আর চেষ্টা করবেন না । ২ দিন পর আবার চেষ্টা করুন । কেননা আমি যত বার এই কোড বলেছি ওরা বলে ঠিক হয়নি । আর বার বার এই করলে আপনাকে নিজের মোবাইলের টাকা খরচ করে ওদেরকে কল করতে হবে । চলুন দেখা যাক কিভাবে একাউণ্ট করতে হয় ইল্যান্সে? প্রথমে ইল্যান্সে যান এবং সাইন আপ করুন একজন ওয়ার্কার হিসাবে আর আমি সিওর আপনি ভালো ভাবেই সাইন আপ করতে পারবেন । তবে একটা গুরুত্ব পূর্ণ কথা, সাইন আপ করার সময় সব তথ্য গুলো আপনার ডায়েরীতে লিখে রাখবেন কারণ পরবর্তীতে এগুলো আপনার কাজে লাগবে যেমন ধরুন – আপনি যে মেইল দিয়ে সাইন আপ করছেন সেই মেইল এবং তার পাস ওয়ার্ড, ইলাঞ্ছ এর ইউজার নেম, পাস ওয়ার্ড, সিকিউরিটি হিসাবে ২ টি প্রশ্ন করা হবে এবং এই প্রশ্ন ২ টি এবং তার উত্তর । প্রতিবার যখন আপনি ইলাঞ্ছে লগ ইন করবেন তখন আপনাকে এই ২ টি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে লগ ইন করতে হবে তা না হলে আপনি ঢুকতে পারবেন না । সাইন আপ করার সময় আপনি অবশ্যই “I want to work” সিলেক্ট করে সাইন আপ করবেন । কেননা আপনি ত কাজ করতে চান, কাজ করাতে ত চান না । আর কাজ করাতে গেলে ত আপনার একটা International ক্রেডিট কার্ড থাকতে হবে কিন্তু কোন ব্যাংক থেকে এটা পেতে গেলে আপনার বছরে অনেক টাকা লেনদেন থাকতে হবে । অন্য একটা উপায় আছে যদি ও ইলাঞ্ছ থেকে আপনি পেতে পারেন পেওনিয়ার ডেবিট মাস্টার কার্ড আর এই কার্ড দিয়ে মানে কার্ডের ডলার দিয়ে আপনি অনলাইনে কেনাকাটা থেকে শুরু করে সব কিছুই করতে পারবেন মনের আনন্দে । আর ইলাঞ্চ থেকে আয় করা টাকা এই কার্ড দিয়ে তুলতে পারবেন, তবে এক্ষেত্রে একটু চার্জ বেশী পড়বে । তবে একটা সুবিধা আছে এই কার্ডের জমানো ডলার পরবর্তীতে আপনার ব্যবসাকে বাড়াতে সাহায্য করবে । যেমন ধরুন – কিছু দিন আগে আমার ১৫০ ডলারের খুব দরকার ছিল, আমার কার্ডে যদি এই ১৫০ ডলার থাকতো তবে আমি ৩ দিনের মধ্য প্রায় বিনা কাজে ১২০ ডলার পেতে পারতাম । যাহোক, প্রথম পর্যায়ের সাইন আপ শেষ হলে এবার ইমেইল ভেরিফাই করে নিন । এবার প্রোফাইল সাজানো সাইন আপ শেষ হলে এবার প্রোফাইল সুন্দর করে সাজাতে হবে । একজন বায়ারের জায়গায় নিজেকে কল্পনা করে দেখুন, আপনি কি চান আপনার টাকা নষ্ট করতে, না চান না । কেউ ই চায় না, তাই বায়ার ও চায় না তার টাকা নষ্ট হোক তাই সে সব সময় চাইবে অল্প টাকার ভিতর ভালো দক্ষতা সম্পন্ন কাউকে ভাড়া করে তার কাজ সেরে নিতে । তাই প্রোফাইল এমন ভাবে সাজাতে হবে যাতে বায়ার দেখে বুঝতে পারে যে আপনি আপনার কাজের ব্যাপারে একজন সেরাম এক্সপার্ট । আপনি কি পড়ছেন বা আপনার এডুকেশান কোয়ালিফিকেশন ঠিক ঠাক করে লিখুন । মিথ্যা বলবেন না এবং ভুল তথ্য দেবেন না । সুন্দর করে আপনার অবজেক্টিভ বা উদ্দেশ্য লিখুন, MS word এবং MS Excel এবং English পরীক্ষা গুলো দিন এবং ভালো স্কোর নিয়ে পাস করুন । এখানে একটা স্যাম্পল প্রোফাইল আছে যেটা দেখে আইডিয়া নিতে পারেন । বিড করা এবং মোবাইল ভেরিফাই করা কিন্তু আসল সমস্যাটা এখনো রয়ে গেছে, আপনি যেকোনো কাজে কিন্তু এখনো বিড করতে পারবেন না । কারণ ইলাঞ্ছএ মোবাইল নম্বর ভেরিফাই না হলে বিড করা যায় না । যদি মোবাইল ভেরিফাই করার অপশন না পান তবে যেকোনো কাজে বিড করার চেষ্টা করেন দেখবেন মোবাইল ভেরিফাই করার অপশন আসবে এবং আপনি ক্লিক করলে নতুন একটা ফ্লোট উইন্ডো আসবে এবং এখানে আপনার মোবাইল নম্বর দিয়ে ভেরিফাই তে ক্লিক করুন দেখবেন আপনার কাছে একটা কল আসবে এবং কল টি রিসিভ করার পর কিছু বলে একটা বিপ শব্দ করবে এবং এই শব্দের পর আপনি স্ক্রিনে লেখা সংখ্যা গুলো বলবেন এবং বলা শেষ হলে হ্যাস বাটন চাপ দিবেন । ব্যাস, হয়ে গেল আপনার মোবাইল ভেরিফাই করা । এবার কাজে বিড করে দেখুন ত হচ্ছে কিনা । ভয় পাবার কিছু নেই, আস্তে আস্তে হবে । ১ টা দারুন অফার, মিস করবেন না আপনি যদি নতুন ফ্রীল্যান্সার বা ফ্রীল্যান্সিং শুরু করতে যাচ্ছেন তবে পেওনিয়ার সম্পর্কে কিছু কথা না বললেই নয়। পেওনিয়ার হল পেপালের মতো টাকা আদান-প্রদানের জন্য একটি অনলাইন ব্যাংক । যারা ফ্রীলান্সার আছেন তারা পেওনিয়ারে টাকা তোলে খুব কম লোক কারণ ডলারের পরিমাণ বেশী না হলে টাকা তোলা লস, কারণ পেওনিয়ারের টাকা তুলতে গেলে ফিস অনেক বেশী দিতে হয় । তাই প্রায় সবাই মানিবুকার ব্যবহার করে । কিন্তু মানিবুকার দিয়ে আমাদের সব কাজ সঠিক ভাবে হয় না । অনলাইনে বা ইন্টারনেটে সর্বাধিক প্রচলিত এবং বহুল ব্যবহৃত পেমেন্ট গেটওয়ে হল পেপাল । কিন্তু আমাদের দেশে পেপাল না থাকায় আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই । আসুন দেখে নিই পেপাল না থাকার কারনে আমাদের কি কি আসুবিধা হয় ...  পেপাল দিয়ে টাকা তুললে চার্জ কম দিতে হয়  পেপাল না থাকার কারনে অন্য বিভিন্ন অনলাইন ব্যবসা আমরা করতে পারি না ।  কাজের জন্য বিভিন্ন টুলস এবং সফটওয়্যার কিনতে পারি না ।  মূল কথা, পেপাল না থাকার কারনে অনলাইন থেকে টাকা আয় করার রাস্তা ৭০ ভাগ প্রায় বন্ধ হয়ে যায় । আর এই অসুবিধা দূর করার ক্ষেত্রে পেওনিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চলুন দেখা যাক পেওনিয়ারের সুবিধা গুলো...  পেওনিয়ার বর্তমানে পেপালের সাথে প্রতিযোগিতায় নেমেছে, অনলাইনের প্রায় ১০০% ক্ষেত্রে পেওনিয়ার ডেবিট কার্ড ব্যবহার করা যায় ।  আমাজন, ই-বে, কমিশন জাংশন, ক্লিক ব্যাংক সহ পৃথিবীর সব বড় বড় কোম্পানি পেওনিয়ার সাপোর্ট করছে ।  অনলাইন থেকে কেনা কাটা করতে পারেন সহজে ।  পৃথিবীর যেকোনো দেশে আপনি আপনার কার্ড দিয়ে টাকা তুলতে পারেন । আপনি এখনি পেওনিয়ার ডেবিট মাস্টার কার্ডের জন্য আবেদন করুন কারণ দিন যাচ্ছে আর এরা নতুন নতুন শর্ত আরোপ করছে । কার্ড করার জন্য আপনাকে কোন টাকা পয়সা দিতে হবে না, বিনা মূল্যে ২৫ দিন পর এরা আপনার বাসার ঠিকানায় কার্ড পাঠিয়ে দেবে। ধরুন আপনি ইমেইল মার্কেটিং করবেন, আপনার কাছে মেইল সংগ্রহ করার সফটওয়্যার আছে কিন্তু মেইল সেন্ড করার সার্ভার নেই । আপনি ওয়েবার থেকে মাত্র ৫ ডলার দিয়ে প্রথম মাসের জন্য সার্ভার কিনবেন কিন্তু কিনতে পারছেন না কারণ আপনার কোন ক্রেডিট কার্ড বা পেপাল নেই । এই ধরনের হাজারো সমস্যার মুখে পড়বেন তখন দেখবেন একটা কার্ডের কি মূল্য আর এটা কিভাবে আপনার ব্যবসাকে বাড়ায় । আর একটা কথা, সাইন আপের কথা শুধু বললেই হবে না, সাইন আপ করার আগে আপনার ভোটার আই ডি কার্ডের ২ সাইড স্ক্যান করে নিন । এবং আপনার কম্পুটারে রাখুন । ব্যাংক ভেরিফাই এর স্থানে ভোটার আই ডি কার্ড দিয়ে দিতে পারেন, আমার টা ত আমি এই ভাবে করে ছিলাম বাংক ভেরিফাই । আর আপনি যদি গ্রামে থাকেন তবে ঠিকানা দেবার সময় Vill, Post, PS. Dist এই ভাবে উল্লেখ করবেন না । ঠিকানা লিখবেন এইভাবে যদি গ্রামে থাকেন... Sunderban, Kochi, Rampal, Bagerhat ওরা বলে গ্রামে ওরা কার্ড পাঠায় না কিন্তু উপরের মতো ঠিকানা লিখলে পাঠিয়ে দেয় । আমি বেশ কয়েক জনকে এনে দিয়েছি । এবার শুরু করা যাক সাইন আপ প্রসেস... প্রথমে এখানে ক্লিক করে পেয়নিয়ারে যান এবং সাইন আপ বাটনে ক্লিক করুন । আর যদি সরাসরি সাইন আপ করতে না পারেন তবে ইল্যাঞ্চ থেকে চেষ্টা করে দেখুন ।